বাগেরহাটর গতকাল শনিবার রাতে টিকটক ও লাইকির জন্য প্রান দিতে হলো কলেজ ছাত্রী সুমার।ঘটনাটি ঘটে বাগেরহাট শহরের দশানী এলাকায়।স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পন করে ঘাতক স্বামী।

শ্রাবনী আক্তার সুমা বাগেরহাটের সিংড়াই গ্রামের আব্দুল করিম কবসের মেয়ে।ভালোবেসে ২০১৯ সালে বিয়ে করে দশানী উত্তরপাড়ার গোলাম মোহাম্মদের ছেলে শান্তকে।সূমা সরকারী পিসি কলেজের ইংরেজিতে অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী।

সুমার ভাই রাসেল বলে,আমার বোন আমাকে ম্যাসোজ করে জানায় শান্ত তাকে মেরে ফেলতে পারে।কিন্তু দূর্ভাগ্য আমি সেই ম্যাসেজ রাত ৮টার সময় পড়ে বোনের বাড়িতে যেয়ে দেখি তাকে হত্যা করা হয়েছে।

আমি বোন হত্যা কান্ডের বিচার চাই।
রাসেল,স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,শান্ত ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করতো।করোনার লকডাউনে চাকুরি চলে যাওয়ায় শান্ত বাড়িতে অবস্থান করে।কিছুদিন পরে শান্ত ও সুমার মধ্যে লাইকি ও টিকটকে আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার সূত্রপাত।

সূমা রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যায়। শনিবার বিকালে মোবাইলে শান্ত স্ত্রী সূমাকে বাড়ি আসতে বলে এবং মাগরিবের পর দুইজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বাঁধে।তারপর কোন এক সময় স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

মোবাইল ফেসবুক বা ইউটিউবে ঢুকলে সামাজিক ব্যধি লাইকি ও টিকটকের রাজত্ব।উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা থেকে শুরু করে ফ্যাশনপ্রিয় মধ্যবয়সীরা টিকটক করে লাইক, কমেন্টস বা শেয়ার চায়। যে অ্যাপসের কারণে জীবন দিতে হয় বা মান সন্মান নষ্ট হয় সেই অ্যাপস সরকারের বন্ধ করা উচিত এমন কথা বলেন সচেতন অভিভাবকরা।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কেএম আজিজুল ইসলাম জানান,স্ত্রী হত্যা করে শান্ত নামক এক যুবক থানায় এসে আত্মসমর্পন করে।জিজ্ঞেসাবাদ করার জন্য তাকে আটক করা হয়েে।লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।